,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

রাষ্ট্রের আইন যদি ইসলামি আইন না হয় তাহলে ইসলাম  পুর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হল কি করে ?

রাষ্ট্রের আইন যদি ইসলামি আইন না হয় তাহলে ইসলাম  পুর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হল কি করে ?

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

উদ্ধ৫ ই আগষ্ট ২০২৩ইং। বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরিন কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্দেগে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আহমাবাদাবাদ (চন্ডিবদী) মরহুম হয়রত মাওলানা গোলাম রহমান পীর সাহেব চন্ডিবর্দী রহ:এর জীবন ও কর্ম  শীর্ষক আলোচনা সভার সম্মানিত সভাপতি এবং প্রধান অতিথি আমিরে সালেকীন আলহ্বাজ হয়রত মাওলানা আলী আহমেদ চৌধুরী বা দা,পীর সাহেব চন্ডীবর্দী। উপস্থিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ, জাতীয় রাজনীতিধিত, সাংবাদিক, পেশাজীবি ও চন্ডীবর্দীর হয়রত পীর সাহেব এর নিকট আত্মীয় স্বজন এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জাকিরীন ভাইয়েরা।জাতির এই ক্লান্তি লগ্নে আজকের এই আলোচন সভায় মরহুম পীর সাহেব হুজুর রহ:এর দ্বীনের কাজের জন্য ত্যাগ ও কুরবানির আলোচনা হল। চন্ডিবরর্দী মরহুম পীর সাহেব রহঃ সহ সকল বুযুগনের দ্বীন দ্বীনের জন্যে কুরবানী করেব গেছেন। যাহা আমাদের জন্যেও পাথেয়।

মুহতারাম উপস্থিতি  চন্ডীবর্দীর  মরহুম পীর সাহেব হুজুর রহ. দ্বীনের  কাজের জন্যে আচন্ডীবর্দী মাদরাসা সহ বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা করেন। এবং সাদারন মানুষের মধ্যে ঈমানী হালত জিন্দা করার জন্যে আত্মশুদ্ধিমূলক কাজ করেগেছেন এবং মুসলমানকে ঐক্য বদ্ধ  রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরান কমিটি নামক একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে যান। সেই সাথে চন্ডিবর্দী মাদরাসায় বছরে দুইবার মাহফিলের ব্যবস্থা করে যান। বাংলাদেশ মুজাহিদ জাতিরীন কমিটি অরাজনৈতিক এর অর্থ হল এই সংগঠন জোটের রাজনীি করেনা তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক ইয়াই তারা চায়। এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নারী প্রতিটি মুসলমানেরাই ঈমানের অংশ, কেননা ইসলাম পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার জান। সেই সাথে চন্ডীবর্দী মাদ্রাসায় বছরে দুইবার মাহফিলের ব্যাবস্থা করে যান।

বাংলাদেশ মুজাহিদ জাজিরিন কমিটি অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। এর অর্থ হলো এই সংগঠন ভোটের রাজনীতি করেনা তবে রাষ্টীয় ক্ষমতায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোকইহাই তারা চায় এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার দাবী প্রতিটি মুসলমানেরই ঈমানের অংশ কেননা ইসলাম পুনাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম।তাই রাষ্ট্রের আইন যদি ইসলামি আইন না হয় তাহলে ইসলাম  পুর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হল কি করে ?

মুহতারাম উপস্থিতি বর্তমান পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে দেখুন তারা তাদের প্রতিটি কাজেই এমনকি রাষ্ট্রীয় কাজেও তাদের ধর্মকে প্রাধান্য দিচ্ছে আমরা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই কিছুদিন আগে ভারতে নতুন পার্লামেন্ট  উদ্বোধন করা হয়, হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্নরীতির মধ্য দিয়ে খোদ ভারতের প্রধান সন্ন্যাসী সেজে পার্লামেন্ট ভবন  উদ্বোধন  করে দেখুন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার  প্রধান শপত করেন স্ব  স্ব ধর্ম গ্রহন্থের  উপর হাত রেখে। মুতারা উপস্থিতি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আমাদের দেশের সরকার প্রধান শব্দ গ্রহন করার সময় কৃতজ্ঞানের উপর মাহ রাখাতো দূরের কথা ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করতেও দ্বিধাবোধ করেন।

লক্ষ করে দেখুন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ সকল দেশেই নিজে না এদেরকে তা সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এমনকি সরকার সাথে তাদের ধর্মীয় কাজ আমেনার সাথে করে থাকেন।

পক্ষান্তরে আমাদের বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের সরকারগণ এর ব্যতিক্রম। মুসলিম নেতা তথা আলেম উলামাদের উপর নির্জাতন, নিষ্পিষন, কারাবন্দী অথবা যে কোন ভাবে তাদেরকে ইসলামী কাজ করার ক্ষেত্রে চাপে রাখার কৌশল অবলম্বন করা হয় যাহা অত্যান্ত বেদনাদায়ক। মুহতারাম উপস্থিতি, বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা বিধায় এতটুকু বলতে চাই যে, আমরা যে যে দলই করিনা কেন আমরা মুসলমান এ কথাটুকু মনে রাখতে হবে। আমরা মুসলমান হওয়াটাকেই বিধর্মীরা আমাদেরকে শত্রু ভাবে। তাই মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করা প্রতিটি দলের মুসলমান সদস্যদের প্রয়োজন বলে আমরা জানি যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম তাই ইসলামী অনুশাসন প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হলে দেশ ও সমাজের জন্য শান্তির কারণ হবে । মুহতারাম হাজিরীন, বর্তমান আমাদের দেশে প্রতিটি মানে যে অনৈতিকতা দেখা যাচ্ছে তার মূল কারণই হলো ইসলামী অনুশাসন না মেনে চলা। সুতরাং জাতিরীন কমিটি ভোটের রাজনীতি করেনা ঠিকই, কিন্তু দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাশী। তাই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক অঙ্গন বড় একটি পাঠ।

এই অঙ্গন যদি ভাল থাকে তখন দেশের পরিস্থিতিও ভাল থাকে। রাজনৈতিক অঙ্গন কলুসিত হওয়ার কারনেই বাংলাদেশে আজ বড় ছোট ওলামা মাশায়েখ কারো কোন ইজ্জত সম্মানের আসাই করা যায়না। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি দেশের প্রশিদ্ধ আলেম ও শায়েখকে অপদস্ত করার দৃশ্য, যে জন্য আজ বাংলাদেশ জাতিরীন কমিটি ৩ টি দাবি করছে (এক) দেশের উত্তপ্ত রাজনীতিকে খুব দ্রুত গতিতে নিরসন করা সরকারী দল বা বিরোধী দল সহ সকলকে সংযম প্রদর্শন করার আহবান যানাচ্ছে। উভয় পক্ষই বিদেশিদেরকে আমাদের সমস্যা সমাধানের নামে নাক গলাবার সুযোগ করে দিবেন না বে অনুরোধ রাখছি। আজ আমরা কি দেখলাম রাজনৈতিক এই হলি লোব বলিতে পরিনত হল মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিম। এমন নিরহ নিরাপরাধ মেধাবী একটি ছাত্রকে অকাতরে শহীদ হতে হল । ভোট নিয়ে যে সমস্যাটা রাজনৈতিক অাসলানে দেখা যাচ্ছে তাহা নিরসন করতে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিরাই বটে। এই অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ওলামা মাশাযোগ ও বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে সমজতার পথ খোলার (সুই। নবীর ওয়ারিশ তথা ওলামা হযরতদেরকে দ্বীনি কাজ করার মাঝে কোনরূপ হস্তক্ষেপ না করা।

বিশেষ ভাবে কওমী মাদরাসাগুলোকে তাদের সূক্রীয়তা বজায় রেখে কাজ করতে সরকার সহযোগিতা করবে বলে নারী করি। (তিন) যে সকল ওলামায়ে কেরামদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছে সকল শ্রেণীর লোমায়ে কেরামদেরকে নিঃশর্তভাবে দ্রুত সময়ের মাঝে মুক্তি দেওয়ার জন্যে সরকারের নিকট উদার্থ আহবান জানাচ্ছি। কেননা, হুজুর সা. বলেছেন যারা আলেমদের সাথে দুশমনী করে তারা কেমন যেন আল্লাহর সাথে যুক্ত করলো। সুতরাং সকল প্রকারের অশান্তি এবং শান্তির আশা রেখেই আমাদের এই সভা থেকে আল্লাহর নিকট দোয়া করে আমাদের এই দাবী পেশ করলাম ।

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ